অভিযুক্ত ব্যক্তি : বরিশালের চাঞ্চল্যকর ইরা হত্যা মামলার ১ নং আসামী মাকসুদুর রহমান মাসুদ , ভারপ্রাপ্ত সভাপতি,মহানগর যুবদল ,বরিশাল |
পিতা : মৃত মোবারক আলী মিয়া , কাশিপুর মোক্তার বাড়ি,নবজাগরণী সড়ক ,কাশিপুর ,চহৎপুর ,থানা : বিমানবন্দর ,বরিশাল | ফোন : ০১৭১১৩৮৯৫৪৯
আমি আল বাকী ইবনে হাকিম,পিতা: মরহুম মেজর (অব ) এম. এ . হাকিম | আমি ২০১৭ সালের ৫ ই অক্টোবর জাতিসংঘের অভিবাসন সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল অর্গানিজশন ফর মাইগ্রেশন (IOM) এর কক্সবাজার অফিসে প্রকিউরমেন্ট এন্ড লজিস্টিকস অ্যাসিস্ট্যান্ট পদে যোগদান করি এবং তখন থেকেই কক্সবাজারে বসবাস করিয়া আসিতেসি |
চাকরির দায়িত্ব পালনকালে আমার আপন ভগ্নিপতি জনাব মাকসুদুর রহমান মাসুদ আমার চাকরিরত প্রতিষ্ঠানে মোট ১৩ কোটি ২৭ লক্ষ টাকার মালামাল সরবরাহের কার্যাদেশ প্রাপ্ত হন ( কার্যাদেশ কপি সংযুক্ত ) | যেহেতু তিনি আর্থিকভাবে সক্ষম ছিলেন না ( তার ২০১৮ সালের ব্যাঙ্ক স্টেটমেন্ট ও ট্যাক্স রিটার্ন সংযুক্ত ) | ওই সময় তার কোনো লিকুইড মানি বা ব্যাঙ্ক লোন সিলোনা যা তার ট্যাক্স রিটার্ন এ প্রতিফলিত হয় ,তাই ব্যবসায়িক মূলধন হিসেবে আমাকে তার ব্যবসায় বিনিয়োগের প্রস্তাব দেন | আমি ব্যবসায়িক মুনাফা ৫০:৫০ অনুপাতে বন্টন হইবে এই শর্তে রাজি হইয়া বিভিন্ন দফায় আমার সঞ্চিত জমা ও বিভিন্ন ব্যাবসায় লগ্নিকৃত অর্থ হইতে তার ব্যাঙ্ক একাউন্ট এ মোট ৩,৪৫,৫৫,০০০ টাকা ব্যবসায়িক বিনিয়োগ হিসেবে প্রদান করি ( টাকা প্রদানের কপি সংযুক্ত ) | তিনি যেহেতু আমার নিকট আত্মীয় ছিলেন তাই আমি সম্পর্কের উপরে বিশসাস স্থাপন করে আর কোনো ব্যবসায়িক দলিলাদি সম্পাদন করিনাই |
পরবর্তীতে সফলভাবে ব্যবসা সম্পন্ন হলে এবং বিল কালেকশন হয়ে গেলে হিসাবান্তে আমি মাকসুদুর রহমান মাসুদের কাছে মূলধন ও মুনাফা বাবদ মোট ৪ কোটি ১৬ লক্ষ্য টাকা প্রাপ্য হই | এর মধ্যে থেকে আমি বিভিন্ন সময় সর্বমোট ১ কোটি ৯৯ লক্ষ্য ৪৫ হাজার টাকা আমার প্রয়োজনে নেই এবং বাকি ২ কোটি ১৬ লক্ষ্য ৫৫ হাজার টাকা তাহার কাচে জমা থাকে | এঅবস্থায় তিনি আমাকে তাহার কাছে আমার সঞ্চিত টাকা ব্যবহার করে তাহার বোনের একটি দুই একরের সম্পত্তি কিনে প্লট আকারে বিক্রির ব্যাবসার প্রস্তাব দেন এবং অর্জিত লাভ সমান ভাবে বন্টন হবে বলে সম্মতি প্রদান করেন | আমি তাতে রাজি হই , ১.৯৫ একর জমি কেনা হয় (কপি সংযুক্ত ) , প্লট গুলো বিক্রির জন্য আমি ফেইসবুক এ পেইড মার্কেটিং করি (কপি সংযুক্ত ) | কিন্তু তিনি জমির ব্যাবসার হিসাব নিষ্পত্তি না করে ,যথাসময়ে টাকা ফেরত প্রদান না করে কালক্ষেপন করতে থাকেন এবং একসময় সম্পূর্ণরূপে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন |
আমার হিসেবে অনুযায়ী জমির প্রজেক্ট এ কমপক্ষে ৪ কোটি টাকা মুনাফা হয় ( ১ লক্ষ টাকা করে শতাংশ কেনা হয় আর ৩.৫ লক্ষ থেকে ৪.৫ লক্ষ্য করে বিক্রি করা হয় | ) এমতবস্থায় আমার অর্ধেক লাভ হিসেবে ২ কোটি টাকা আর আগের ২ কোটি ১৬ লক্ষ্য ৫৫ হাজার টাকা পাওনা সহ মোট ৪ কোটি ১৬ লক্ষ্য ৫৫ হাজার টাকা পাওনা হই | আমি নিরুপায় হয়ে বিমানবন্দর থানায় একটি অর্থ আত্মসাৎ মামলা দায়ের করি | যা বিমানবন্দর পুলিশ এবং পি বি আই তদন্ত শেষে জনাব মাসুদ ১ কোটি ৩১ লক্ষ ১০ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেন এই মর্মে প্রতিবেদন দাখিল করেন (কপি সংযুক্ত ) |পি বি আই শুধু ব্যাঙ্ক টু ব্যাঙ্ক ট্রান্সফারগুলো আমলে নিয়ে রিপোর্ট প্রদান করে , ক্যাশ জমা কিংবা আমার দুইটা প্রজেক্ট এর লোভভ্যাংশ সম্পর্কে কোনো পর্যবেক্ষণ দেন্নাই |যেহেতু যৌথ ব্যবসার অনুকূলে কোনো দালিলিক চুক্তি ছিলোনা,তাই শুধু ঘটনা প্রবাহকে আমলে নিয়ে কোনো অংক এই রিপোর্টে প্রতিফলিত হয়নাই |
মামলা চলমান অবস্থায় পারিবারিক উদ্যোগে এবং তৎকালীন বিমানবন্দর থানার ওসি জনাব আমানুল্লাহ বারী র মধ্যস্থতায় উভয়পক্ষের উপস্থিতিতে একটি সালিসী বৈঠক হয় | বৈঠক শেষে আমার পাওনা ৪ কোটি ১৬ লক্ষ্য ৫৫ হাজার টাকা হওয়া সত্ত্বেও জনাব মাসুদ শুধু ১ কোটি টাকার পরিশোধ করবেন মর্মে স্বীকারোক্তি দেন যার মধ্যে নগদ ৫ লক্ষ্য টাকা এবং অবশিষ্ট টাকার জামানত স্বরূপ একটি ৯৫ লক্ষ্য টাকার চেক ও তিনশত টাকার স্ট্যাম্প এ একটি অঙ্গীকারনামা প্রদান করেন (কপি সংযুক্ত ) | আমার কাছে যেহেতু তার সাথে কোনো বেব্সায়িক চুক্তি ছিলোনা তাই তিনি আমার দুই প্রজেক্ট এর লাভের ৩ কোটি ১৬ লক্ষ্য ৫৫ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেন | জনাব মাসুদ নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নগদ টাকা এবং জমি মিলিয়ে মাত্র ৯৫ লক্ষ্য টাকা পরিশোধ করেন | আমি নিরুপায় হয়ে অবশিষ্ট পাওনা ৩ কোটি ১৬ লক্ষ্য ৫৫ হাজার টাকা হতে অংশ বিশেষ পুনুরুদ্ধারের জন্য আমার কাছে রক্ষিত চেকটি নগদায়নের জন্য মামলা করি |
কিন্তু তিনি আমার পাওনা টাকা ফেরত না দেয়ার হিন উদ্দেশ্যে আমার বিরুদ্দে চেক জালিয়াতি করার একটি মিথ্যা মামলা করেন যা এখনো তদন্তনাধীন আছে ( কপি সংযুক্ত ) |তিনি আমার সমুদয় অর্থ অর্থাৎ ৩,৪৫,৫৫,০০০ টাকা ফেরত দিয়েছেন এই মর্মে সাদা কাগজে লেখা,আমার বা সাক্ষীদের কোনো প্রকার সাক্ষর ছাড়া মনগড়া ,ভুল যোগ করে হিসাব মিলিয়ে দিয়ে যে বিবরণী দাখিল করেছেন ( কপি সংযুক্ত ), তা দেখলেই যে কেউ বুজতে পারবে কোটি কোটি টাকা কিভাবে চুরি করেছে | আরেকটা লক্ষণীয় বিষয় , এই মামলা তে ৭ জন সাক্ষীর সাক্ষ দেয়া হয়েসে যাদের জবানবন্দি কোন ভেরিয়েশন ছাড়া দাড়ি কমা সহ হুবুহু এক ,শুধু মাত্র সাক্ষীদের ঠিকানা আলাদা ( কপি সংযুক্ত)| যা দেখে আপনাদের বরিশালের ঐতিহাসিক টাকায় ভাড়া খাটা কাশিপুইরা সাক্ষীদের কথাই মনে পড়বে|
সাম্প্রতিক সময়ে দেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তন হওয়ায় তিনি আরো আগ্রাসী হয়ে ওঠেন,আমি অরাজনৈতিক ব্যক্তি এবং কক্সবাজারে বসবাস করা সত্ত্বেও আমার বিরুদ্দে বরিশালের বি এন পি অফিস পোড়ানোর মামলার এজাহারে আমাকে অন্তর্ভুক্ত করেন যা স্থানীয় পত্রিকায় প্রকাশিত হয় |(কপি সংযুক্ত ) | উপরন্তু তিনি তার রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার করে আমার বিরুদ্দে আনা চেকের মামলায় আমার জামিন বাতিলের আবেদন করেন এবং তাকে ভয় ভীতি দেখানোর অভিযোগ করেন যা অত্যন্ত হাস্যকর | (কপি সংযুক্ত )
প্রকৃতপক্ষে জনাব মাসুদুর রহমান মাসুদ আমাকে নানাভাবে বিভিন্ন আত্মীয়স্বজনের কাছে ফোনে মামলা তুলে নেয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করতেসেন অন্যথায় প্রাণনাশের হুমকি দিতেছেন | এমতাবস্থায় আমি প্রাণভয়ে অত্যন্ত নিরাপত্তাহীনতায় ভুগিতেসি |
এমতাবস্থায় ,আমি বিষয়টি তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে সংশ্লিষ্ট নীতিনির্ধারকদের প্রতি দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আকুল আবেদন জানাইতেসি |
আমি এখনো আমার মূলধন থেকে ৪৬ লক্ষ ৫৫ হাজার টাকা আর লাভের অংশ বাবদ ২ কোটি ৭0 লক্ষ্য টাকা – সর্বমোট ৩ কোটি ১৬ লক্ষ্য ৫৫ হাজার টাকা তার কাসে পাওনা আছি | আমার যদি ব্যাবসায়ী উদ্দেশ্য না থাকতো তাহলে 2019 সাল হতে অদ্যবদি শুধু মাত্র ব্যাঙ্ক এ রাখলেও আমি কমপক্ষে কোটি টাকার মালিক থাকতাম | তিনি আমার টাকা ব্যবহার করে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছেন , আমার নিকট আত্মীয় হবার কারণে আমি দালিলিক চুক্তি করিনাই ,শুধুমাত্র এই দুর্বলতাকে কাজে লাগিয়েই লাভের অংশ মেরে দিচ্ছেন | কোনো লাভ/ মিউচুয়াল আন্ডারস্ট্যান্ডিং ছাড়া একজন পাগল ও কি কাউকে কোটি কোটি টাকা ৪/৫ বছর এর জন্য ব্যবহার করতে দেবে ??
কত বড় চোর আর নিমক হারাম হলে এইভাবে ক্ষতি করতে পারে তা বিচারের দায়িত্ব পাঠকের কাছে রাখলাম |
আফসোছ যে বি এন পির মতো দলে যোগ্য লোকের এতই অভাব যে মাসুদের মতো একজন আট বছরের শিশু হত্যাকারী ও নিমক হারাম চোর কে গুরুত্বপূর্ণ দলীয় পদে আসীন করে রেখেছে |
যার চরিত্র পিছন দিয়ে ছুরি মারা , সে নিজের স্বার্থের জন্য রাজনৈতিক সহকর্মীদের পিঠেও ছুরি বসাবে সেটা শতভাগ নিশিতভাবে বলা যায় | এবং অতীতেও সুবিধা গ্রহণের জন্য বহুবার রং বদল করেছে ,যারা বরিশালের স্থানীয় রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত তারা বেশ ভালো ধারণা রাখেন |